আদ্যযুগের মানব বাসের দৃশ্য
পাহাড়, গিরি, গুহার ভেতর বাস্য ।
ভয়ে করতো দিন-অতিপাত
দৈত্য-দানব কেচ্ছায় অগাদ রস্য ।
কল্প-কথার হর এক গাথা ধর্মবার্তা
যুগের পরে আসতো যুগের ত্রানদাতা ।
কালে-কালে অবতারিরা রচে প্রথা
উড়াল পাখির পৃষ্টে-চড়াছিল উপাস্য ।
মন্ত্র-তন্ত্রের ঝটা-ঘেটা মানুষের মান্য
স্বপ্নের হরিণ ধরে মানুষহত ধন্য ।
পূর্বকালের ধান্দা-দিশার সাধু পুণ্য
ভেলকিবাজির মন্তরে মানুষ পোষ্য ।
সাধু সহায় আদ্যো উপায় রাজা-ধিরাজ
প্রাতের ফকির অস্তবেলা পড়েছে তাজ ।
শক্তির কাছে ভক্তি-বাজির পূর্ব সমাজ
স্বার্থে সন্ত প্রীতে আধিত্য হয় বত্স্য ।
আদ্যৌবাজি চলছে খেলা বিশ্বময়
গণচেতায় আখের গুছায় মিথ্যা নয় ।
শক্তি জোগায় ঠাকুর সহায় দলময়
আপ্ত-শোভায় ব্যস্ত খেলায় মনুষ্য ।
ছায়ার ভয়
মোহাম্মদ ইউছুফ
মিয়া নুনু
একা-একা চলছি
হেটে কানন গিরির পথে
তীক্ষ্ণ রুদের
তপ্ত আলো জড়ছিল যে মাথে
দিন-দুপুরের
বেলা, ফাঁকা রাস্তা ধরে ছিল চলা ।
নিঃস্তব্ধ বনও
মাঝে মনে বাজে শুনত্যার মেলা ।
কোথায় কোথায় চোখ
পরে বৃক্ষ শাখে -
দেখি সেথায়, বিশ্রাম নিচ্ছে কতেক পাক-পাখিলা ।
কখনও শোনি টক টক
করে গর্তে খেলে সাপে
প্রাণের ভয়ে
বেঙ্গ-বেঙ্গীরা এখানে ওখানে লাফে ।
সামনে আমার আছে, আঁকা-বাঁকা সরু পথ
দুপুর গড়িয়ে
যাওয়ায় একটু নেমেছে সুর্যরত ।
হঠাত্ করে চোখে
ভাসে কে যেন মোর সাথে
চমকে উঠে অপকটে
মন্ত্র পাঠে দুচোখ বুজে ভীতে-
কি-জানি হয়, বাঘ, সিংহ নাকি বন-ভালুক
বুকের ভেতর
শক্তি ধরে সাহসে খুলি চোখ ।
এদিগ-ওদিগ
থাকিয়ে ভয়ে, অবশেষে বুঝি
নি-জ ছায়ার ভয়
ছিল তা, সুর্য হেলায় সৃজি ।
অদভূতময়
তুমি বুঝ যদি কথা
তোমার স্থলি ভরা আছে গাধা
সেখানে যা দেবা, তাই লয়
কম দিলে গর্জে, লাগে অদভূতময় ।
কই যেন নিয়ে যায়, কি যেন ঘটে হায়
!
ধরে ফেলে মাথায়, কি আজব ব্যথা ।
- তুমি বুঝ যদি কথা -
ভাবো দেখি রস্য, কে কার পোষ্য
চমত্কার অবশ্য আছে এ গাঁথায় ।
ষড়েন্দ্রীয় মনুষ্য, কান, মুখ, দৃশ্য
হাত, পা, নাকে বশ্য জীবন গতিতায় ।
এ সবে কি খোলায় গাধাটাকে থামায়,
অন্তরিন বিধায় বাহ্যিক ইন্দ্র প্রয়োগ বৃথা ।
- তুমি বুঝ যদি কথা -
এ সব বুঝিয়া হুছট খেলাম বসিয়া
জীবন ভর দিয়া, অনুরাগ নাহি চায় ।
বুঝি অবশেষে সাধনে আয় বশে
ঐশ্যি মন্ত্রে ঘসে বুজ ডালা যায় ।
পেট জ্বালার দুনিয়া গাধা পেট থামিয়া
ধ্যেয়ানে ভ্রমিয়াই আয় সফলতা ।
-
তুমি বুঝ যদি কথা - ।
No comments:
Post a Comment