Sunday, 22 December 2013

হূদয় বাংলা ''কবিতা''

বঙ্গ কথা

বহু কাল বহু যুগ উত্থান পত্তন বিন্যাসি 
সাগর কুর্ব হতে ভেসেছিলে তটে একাত্তরে আসি 
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী 
কবির গাঁথা কাব্যে ভেসেছো নিরবে মহিমা প্রকাশি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

প্রাচীনেরও প্রাচীন গাড়ো খাসিয়ায় তব ভূ-ধর চিন 
বাসেছিলো 'মহা বঙ' জাতি এক প্রাচীন আর্য হীন 
সেই শত সাল মহা ভারত কাল কামরুপে তুমি লিন 
হে প্রিয় জননী সহে দুংখ গ্লানি একাকার হলে আর্যে মিশি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

হিমাদ্রির নহরে, নদী ভাসা জলে চলো গড়িয়ে অধর 
তাথে লোকবাসে, ভাতে আর মাছে জীবন শোভাকর 
চাষে ধান কৃষান তব মাটির দান অপূর্ব মনোহর 
বিশ্ব চড়া-চর বণিক-বানিয়ার ঢল এলো সুখ-অম্বেষী ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

ফাঁদে বাদ-বিবাদে জাত-মাত আবাদ তব ভূধর ব্যেপি 
তুর্কি-ইরানি মুসলিম সেনানী বর্মী তিব্বতী হয় একরূপি
আচারে বিচারে মিশে একাকারে লিন হয় সব 'জাত-সফি 
মধ্যযুগনিকাশে বিলাতিয় ত্রাসে স্বাধীনতা যায় বুঝি খসি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী 

জাতির বিশ্বাসে ঘাত, মীরজাফরের আতা-আত দিতে খেসারত 
দুই শত বছর বিদ্রোহ সমর এ মাটির উপর চলে অবিরত 
বণিকের দল করিল কৌশল জাতিত্তের রণে সাজালো ভারত
বিদায়ের সুবাধে বিভাগিল বিবাদে এ মাটির হৃদে আঘাত গ্রাসি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

বঙ্গের একাংশ ভারতের অংশ, দুই তৃত্বিয়াংশ পৃতক -
মুসলমান রাষ্ট্রে অচেনা অদৃষ্টে মিশিল অকৃস্টে এ ভূলোক
পরিশেষে আঘাত ভাষা রণে প্রথমাত জান্তার আতংক 
কলে-বলে কতক সাল কাটিল কাল হিংসায় বিভাসি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

অবশেষে জন রোষে স্বাধীনতার যশে জেগে ওঠে জাতি 
জাতিকে দেখাতে পথ আসিলেক মহানায়ক প্রেমের মুরতি
দেশ প্রেমে মুগ্ধ মন সহিয়া নির্যাতন জড়িয়ে চলে প্রীতি 
জাতি লয়ে ভাবনা জীবনের আরাধনা স্বাধিকার অভিলাষী ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

যুদ্ধ করে নয় মাস একাত্তরে পুরিলো বঙ্গ মাতার আশ 
স্বাধীন চেতারা হলো বিজয়ী, স্বীকৃত বিশ্বময়ী বঙ্গ নিবাস 
যুদ্ধ বিরোধী যতদেশ দ্রোহী হায়ানার সঙ্গী ছিল যা পিচাশ 
জোট বাধিল সব মিলে একতা হরিল ছলে দেশ নিলো গ্রাসি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

বিকৃত মানবগোষ্টি অপপ্রচার করে সৃষ্ট, সাজিল ওরা সুধী 
পচত্তরে জাতির মাথে কলংক লেফে নেতাকে ওরা বধি
স্বাধীনতা গায়েল করে ক্ষমতায় বসিল জোরে দেশদ্রোহী
জাতি হইল ভাগ বিক্ষাইয়া অনুরাগ বেয়াল্লিশ বছর গেল ঘসি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী

বিচ্ছিন্ন আজও জাতি লয়ে কুলষিত, কুলষিত রাজনীতি 
দিনে রাতে ঝড়ে কত প্রাণ হত্যার অবসান না হলো ইতি 
দলে দলে কহল এ হেন বিরল নিয়মের নাই স্থিতি 
সারা দেশ রুদ্ধ কে করিবে মুক্ত বাংলাদেশ ভালবাসি ৷৷
হে বঙ্গ সোনালী অঙ্গ, সবুজ শ্যামলা চির-রূপসী


বৃহত্ বঙ্গ

অদুর অতিতে সাগর তলে
প্রস্তর কিংবা তারও পূর্বাকালে,
তুমি না লোকায়িত ছিলে -
'হে বঙ্গ, সবুজ শ্যামলার অঙ্গ
হিমালয় কৈলাসী নহর, বহে হাজারও বছর
সে পতিত জল, লোহিত নদাচল-
তব মূল প্রসাগরে দলে
পর্বতি কণা, জলে দিয়ে হানা
বরাট বেধেঁ চলে, প্রশস্ত তব শীমা
সেই মহা-কালে পাহাড়ের হালে
ভেসেছিলে তুমি গাড়ো, খাসিয়া মূলে
আজি হও বৃহত্, ব্রহ্মপুত্র-নদও রত
সৃজিল তোমায় স্থলে


বাঙ্গাল
অস্ট্রাল, দ্রাবিড়, আলপীয় নর
আদ্য আর্য, আরবী বহু তর
আমার শোনিতে মিশেছে ধ্বনিতে
বিচিত্র মিশ্রনী স্বর
আমি বঙ্গের বাঙ্গাল
খাসিয়া গাড়ো পাহাড়ের সাত্তাল
আমি আদি আজি সর্বাধি -
কৈলাশী নহর, ব্রহ্মপুত্রে বহিত কাল
খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ পাল
মহাভারতে আমি বিস্তার
আমি মহানন্দ মুসলিম
আমি তুর্কি মুঘলের অহংকার


মাছে ভাতে বাঙ্গালী

আর্যে অপতিত মহান্ত বং
'মাছে ভাতে বাঙ্গালী'
মহাভারতী কথন
হিমালয় মায়া নীড়ে
কামরুপ মগধ জোড়ে
বিস্তার ছিল, তোদের অনুপম

জাতীত্ব সংস্কৃত হিন্দু বৌদ্ধে স্থিত
ধর্মে সনাতন -
গভির আবেগ চিত্তে, সুফলা ভূ-হোন্তে
চাষা-বাদে করিতে জীবিকা অর্জন


বাংলার-স্তপতি

স্বাধীন বাংলাদেশ ৪২তম বিজয় দিবসে মুক্তি যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে সকল মুক্তিযুদ্ধাকে উত্সর্গ
বাংলার-স্তপতি
''বাংলার-স্তপতি'' কবিতাটি
মোহাম্মদ ইউছুফ মিয়া নুনু

তুমি চলে গেলে -
তোমার ঝরিয়ে দিলো ওরা !
তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা
আর যে হলো না গড়া
বাংলার তরে আকুল তুমি
প্রেম-মনার কবি,
তুমিইতো ছিলে সেই একফুল
তোমায় বাঁচাতে যুদ্ধ করে সবি
শাসকের ধলন শোষণ বঞ্চনায়
ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশ,
মানুষের অধিকার প্রতিষ্টা করিবার
জীবন ভরে সহ ক্লেশ
আলোর প্রদিপ হয়ে তুমি
ঝলকে ওঠো ফুঠে,
বাংলার মানুষ আশা লয়ে জেগে
তোমার মানস পটে
বাঙালীর অভিমান বাংলা নাম
গিয়েছিল একদিন মুছে,
বাংলাদেশ' তুমি নাম দিয়েছো
ভালবাসায় রচে
তেইশ বছর শোষণ বঞ্চনার
সব হিসাব খতিয়ে,
বাংলা 'স্বাধীন' রাষ্ট্র গড়ায়
চলেছো তুমি ধেয়ে
নির্যাতিত বাংলার জনতা
মুক্তির আশায় লড়ে,
তোমায় বাংলার স্তপতি ভেবে
রক্ত দিতে নাহি ডরে
একাত্তরের সাত মার্চে বুলিলে তুমি-
জয় বাংলা' ধ্বনী -
ভড়কে উঠলো শোষক পাক-শাসক
মুক্তির শ্লোগান শোনি
হাজার বছরের বাংলাবাসীর
স্বপ্ন মুক্তির আশা,
তুমিই হলে লক্ষ্যের প্রতিক
তুমি হলে ভরসা
সাত কোটি মানুষের ঐক্য
তুমি লক্ষ্যে জ্যোতি
বঙ্গবন্ধু' উপাদি তোমায়
দিয়েছে বাঙ্গালী জাতি
সাত কোটির মুক্তির দাবিতে
তুমি অতন্দ্রপ্রহরি
তোমায় লয়ে শাসকেরা
করে কতছল চাতুরী
অবশেষে পাক-শাসকরা চালায়
হত্যার অভিযান
একাত্তরে পশ্চিশে মার্চে
হরিল জাতির হাজার প্রাণ
তোমার ঘোষনা এপিয়ারে
যুদ্ধ আহবান
শেষ রক্ত বিন্দু দিয়েও
বাঙ্গালী বাঁচার এলান
তোমায় ঘিরে নিয়ে যায় সেনা
বন্ধি কারাগারে,
বাঙ্গালী সবে যুদ্ধ চালায়
জাতী মুক্তির তরে
নয়টি মাস যুদ্ধ করে
নিরস্ত্র বাঙ্গালি,
স্বাধীন করতে বাংলাদেশ তোমার
ত্রিশ লাখ প্রাণ দেই ঢালি
ষোল ডিসেম্বর একাত্তর সাল
ঢাকায় রেসর্কোস ময়দানে
যুদ্ধ বিরতিতে অস্ত্রসমর্পণ
করলো পাক সেনাগণে
আসলো বিজয়, বাঙালী জয়
বাংলার কানন বাগে,
বীর বাঙালী উল্লাসে ভাসে
নতুন অনুরাগে
মুক্ত তুমি মুক্ত মোরা
যুদ্ধ হল শেষ,
সোনার বাংলা গড়তে তুমি
করো মনোনিবেষ
যুদ্ধাহত দেশটি মোদের
তুমি তার স্তপতি-
বিশ্ব দোয়ারে দেশ লয়ে ঘুরে
রেখেছো বাংলার কৃতি
কৃষাণ শ্রমিক সবার তরে
সম অধিকার রেখে
সোনার বাংলা গড়বে বলে
স্বপন সাজালে বুকে
হাঠাত করে বিদ্রোহী হল
ঘাতক নেতা, সেনার লোক,
না পাওয়ার আশে তোমায় নিয়ে
অবিযোগ অহেতুক
অপ-প্রচার বিভিন্ন ভাবে
বৈদেশী টাকায়,
তোমায় নিয়ে ঝট বাধিল
ক্ষমতার আশায়
বক্ক চেদ করিলো তোমার
বাসা ঘেরাও করে,
হত্যা করিলো তোমারে ওরা
আরো অনেককে পরিবারে
ছোট শিশু রাসেলের বুকে
গোলি চালায় খশে,
বেঁচে রয় তোমার দু-কন্যে
তখন ওরা বিদেশে
তামিয়ে দিলো বজ্র কন্ঠ
বিত্ত-বৈভব অভিলাষী,
পনেরো আগষ্ট কালো রাত্রে -
বাঙালী হারালোদিপ্ত শশী
আধাঁরে ফেলে সোনার বাঙালা
পর-কালে করো গমন,
বেয়াল্লিশ বছর স্বাধীনতার অর্জন
পোড়লনা মুক্তির স্বপন
তোমার গড়া স্ব-স্বাধীন বাংলায়
এলো না আজও সস্থি
স্বর্গ হতে দোয়া দাও মোদেরে
হে বাংলার স্তপতি


বীর-অস্ত

অস্তে গিয়াছে ভাসি সুর্যের আলোক রশ্মী
যত বীর মহা-শীর বাংলার সন্তান-
বাংলা-রে লয়ে যারা রচেছে কাব্য-ছড়া
অজয়ের গাঁতা কাঁথায় কে ছোয়াবে প্রাণ ?

হাজার বছর শ্রমে তাড়ন তরণী ভ্রমে
কোল বেলা যায় থেমে, না হল ত্রান
লক্ষ প্রাণাহুতি দিয়ে লভেছিনু স্বস্থি
নাই হেন মোহন্তী যে রাখিবে মান

পল্লী 'মা'

আমি যখন টুক-টুক করে হাটি
তোমার মাঝে পিছলে গিয়ে-
মা-গো, কাঁদতাম তোমায় লোটি
তোমার ছোঁয়া গা'য় লাগিয়ে
তোমার ধুলোয় আমি পরি-পাটি

জন্ম আমার মানস কোলে
প্রসূতি’, এক মহিষী নারী
যা-কে তুমি লালন করেছো
তোমার আপন বুকে জড়ি
সে যে জন্মদিয়ে দুধ খাওয়ালো-
পালন পোষন তোমার বুকে,
এই খোকাকে স্নেহ দিছো বাটি

তোমার গা'ছোয়া ঐ কুমল হাওয়া
খেলতে আমায় দিতো দোলা,
তোমার ধারণ করা পুকুর জলে
সাঁতার কাটতাম ভাসাই ভেলা
সব ক'টা কাল শিশুর কিশোর
যৌবনের আনন্দ বিভোর -
ছিল মধুর, তোমার মাঝে খাটি

বিশ্বসেরা শ্রেষ্ট মা-গো তুমি
স্পর্শ তব স্বর্গসম, ‘পল্লী জননী
গড় আমায় তিলে-তিলে
ফল-মূলের বাহারে মিটায় গ্লানী
মধু সঞ্চার আম কাঠালের ধ্বনী
হেমন্ত আর গ্রীষ্ম, ফসলদেখে বিস্ম
তব অধর ভরা শোদ্ধ দু-আশ মাটি

সকল পাওয়া তোমার হতে 'মা
আরতো নয়-গো কিছুই চাওয়া
দিয়েছো তুমি বক্ক ভরা ভালবাসা
জীবনে বাঁচা, মরণও তোমায় নিয়া
তুমি আমায় আশিশ করো মা
মরার পরও তোমাতে মিশি
আমি যেন যাইতে পারি মিটি


বঙ্গভূমী জন্ম

হে আমার বঙ্গভূমী অঙ্গ নিলে
হিমালয় ঝর্নায় ভাসাস্রোতের ধুলে -
ভেসে ছিলে বহু পূর্বে প্রাচীন আলয়ে

হিমাদ্রীর জল বহর, উচ্চাস তরঙ্গ নহর
কত যুগান্তর জানি বহে তব গায়ে
হিমের ধুলা-বালি-কণা সায়রে পতিত ফেনা
ভূমী গঠন তব সীমা লয়ে
মণিপুর অবকায়ে, সপ্তগিরি পাহাড় বয়ে
গারো-খাসিয়া আরো জয়ন্তীয়া কায়ে-
ভেসে ছিলে বহু পূর্বে প্রাচীন আলয়ে

তুমি যে ছিলে সাগর জলে লোকায়ীত
প্রাচীনের প্রাচীন কোন এক কালে
হিমাদ্রীর আশীর্বাদে গঙ্গোত্রীতে বহে
ভাগিরতি, পদ্মা, দুইয়ের প্রবাহে
বঙ্গের জন্ম পুসাই নিলে ব্রহ্মপুত্র দেহে
শিব পর্বত কৈলাস নহর স্রোত বহরে ঢলে -
ভেসে ছিলে বহু পূর্বে প্রাচীন আলয়ে

সোনার দেশের তরে

আমরা যদিও শত দলে,
শত পথে, মতে চলি বলে,
আমাদের কি রবেনা কোন কৃতী?
রবেনা কি আমাদের কোন নীতি ?
আমরা কি সোনার দেশের তরে,
দেখাতে পারবনা স্বল্প একটু প্রীতি ?

গণ মানুষের তরে, গণ মানুষের পরে
আলোয় ভরে, এমন করে দুঃখ কেড়ে
পারবনা কি দেশটা দিতে গড়ে ?
যে দেশে রবেনা কোনু বৈষম্য,
মানুষে মানুষে অসাম্য,
দাংগায় রাংগা জাতীত্বের যত ভ্রান্তি

আমরা কি চলিতে পারিনা 'লয়ে উদ্দেশ ?
সাম্যের বাধঁনে বাধিঁতে জাতি এ দেশ,
করিয়া সুচনা দুর করি বঞ্চনা দিদ্বেষ
আমরা কি পারবনা ? বেধেঁ ঐক্য,
পথ চলিব ধরে, যে পূর্বজ ধক্ষ্য,
মানুষের সমক্ষ বেচেঁ আছে যে স্মৃতি

আমরা কি পারবনা ? 'বস্ত্রে-জীর্ণ
যত মানুষের ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীর্ণ'
যুগিয়ে অন্য-বস্ত্র মানুষেরে করি পুর্ণ
দুঃখ আর ক্লেশ করিয়া নিঃশেষ
স্বচ্ছ হোক মধ্য-নিম্ন সমান পরিবেশ
সকলের হোক দেশ সবাই মানুষ জাতি!


সাধের 'স্বাধীনতা'

আমার সাধের স্বাধীনতা
তুমি কি জানো -
তুমি আমার হাজার রাতের
তিমির আধাঁরে পথচেয়ে থাকা
মুগ্ধ প্রেমিকের ত্রাপিত ভালবাসা
আমার সাধের স্বাধীনতা
তুমি কি জানো -
তুমি আমার অকুল সায়রে
উত্থাল তরঙ্গে ডুবো ডুবো তরণির
কূলে ভিড়ার আশা
আমার সাধের স্বাধীনতা
তুমি কি জানো -
তুমি আমার কাল-বৈশাখীর
ঝড়ের মাঝে কৃষকের নব ফসল
গোলায় ভরার নেশা
আমার সাধের স্বাধীনতা
তুমি কি জানো -
তুমি আমার কুমারি মায়ের
অপেক্ষা দেখার শিশুর প্রথম
কচি মুখের হাসা

বিজয় উল্লাস

বাংলাদেশি - হরে-ক চিত্ত বিজয়ে মত্ত
বাংলা স্বাধীনের - বিজয়টাকে ভালবেসে
১৬ ডিসেম্বর - গণ-তন্ত্র-কামী বুলে ধ্বনী
আজকে মোদের - প্রতি প্রাণ নাচে উল্লাসে

স্মৃতি সৌদ্ধ - সকাল হতে জনতার ঢল
শহীদ স্মরণে - পুস্প স্তবক, ফুল পুতে মানুষে
লাল-সবুজে - রঙ মেশানো পতাকা উড়ে
দোলে দোলে - আকাশ জুড়ে সারা দিবসে
আজকে মোদের - প্রতি প্রাণ নাচে উল্লাসে

তরুণ তরুণী - নাচিয়া গায় বিজয়ের গান
বিজয় স্মারক - পাঠ্যে প্রবিন হইল লীন স্মৃতিত ভেসে
কাব্য-মুদি - সকল কবি আরও রাষ্ট্রীয় লোক
জয়-জয় বলে - বিজয় সাধে উঠলো ফুসে
আজকে মোদের - প্রতি প্রাণ নাচে উল্লাসে


স্বাধীনতার ভিত্তি

স্বাধীনতার ভিত্তি মোদের সাম্যবাদে
আজ কেনরে আলগ মোরা বিবাদে
ত্রিশলক্ষ্য শহীদে,  কে মুসলিম কে অমুসলিম
কে জানো সংখ্যা কত মানুষ মরল অবাদে

ধর্মচক্র কি হবে তোর কেউ বলেনি মুক্তিযুদ্ধে
রণ করে বাংলাদেশী হিন্দু, মুসলিম, খৃষ্টান, বৌদ্ধে
বদ্ধ ভূমীত পুতাতে হল শত শহীদের দেহ অবয়
কেউ কি জানো কোন লাশ-কার পড়েছিল যা খাদে

জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভাল নিজ নিজ মতবাদে
বাংলাদেশী সমাজ হোক মানবতার মানব-বাদে 
কৃষ্ণ অবতার, বৌদ্ধ অবতার, নবী-রাসুল সব বলে
আমরা তোমরা সবাই মানুষ ধর্মীয় দলিল বুধে

মানবী শীর উচু হয় মাবন সেবার আনন্দে
সংহত জাতি দেশ গঠন কোনু ধর্মেই না রুধে
দুষ্টের ধমন শিষ্টের পালন ধর্ম কথা লই হূদে  
একাত্তরের চেতনা তাহাই মুক্তি শক্তির সুবাধে

আধাঁর ওঠো জেগে

আধাঁর ঘরে আলো জ্বেলে, ওঠো জেগে
উদয়ের পথে যাত্রী হবে, চল না তেজে
ওঠ-রে এবার গা'মুড়িয়ে !
ওঠনা তোরা, চুখ মাজিয়ে অভয় সেজে
প্রভাতের ঐ আলো হয়ে পর ছড়িয়ে সব আলয়ে,
দেখবে শেষে সকল আধাঁর, 'টুটবে লাজে
চল তোরা চল লক্ষ্য হয়ে !
সবখানে যব উড়বে তোদের বিজয় নিশান -
বাজবে বিষান, জয় শ্লো-গান, 'শুনবে নিজে
স্বচ্ছ হয়ে চল-রে বেগে !
আধ পথে আর তামবি না-রে, কোনু লোভে,
চল চল তোরা আলোয় ভেসে তিমির মাঝে


তারুণ্যের আগমন

অবতীর্ণ মাঝে হোক তারুণ্যের আগমন
স্বচ্ছের পদাঘাতে তুচ্ছ হোক দমন,
হে ক্লান্তী, চিত্তে লভিয়া স্বস্থি, করো-হে গমন
দেখ দেখ ঐ এলো, সত্য সাহসীগণ !
এলো-রে পালা,
বদলাতে হবে যে, তব সব খেলা
জোটে অটুট রবি, আর নয় বেলা
তরুণ-অরুণ বুঝি জমিয়েছে মেলা
আর নয় সবে কয়, হল জাগরণ
চিত্তে চিত্তে নব-জ্যোতের কিরণ
দ্বার-খুলে আলো দেবে !
তিমির আধাঁরে ভেসে উদয়ের সাথে
জাগরিত শত প্রাণ ছড়িল যে রতে
আসিতেছে নির্বৃত্তে দেখ চেয়ে পথে
খুলিবে দোয়ার এসে, আত্ম শুদ্ধ নব-রতন
কোলাহল পাবে ত্রাশ, আলো-বিকাশ এক্ষণ ।।



দেশহীতে

চল মোরা কাজ, করি 'দেশহীতে'
অন্যায়-অবিচার, যত কাদা-ছুড়া অনির্বার
চল দেই দগ্ধে
হিংসা, বিদ্বেষ বিসর্জীয়া হ্রদে,
দেশটাকে ভরে দেই মাছ আর ভাতে
চল মোরা কাজ করি 'দেশহীতে'

লক্ষ্যহীনতা অদক্ষের বর্বরতা, দলিয়া পদে
চল আয় বাংলায়, আলো জ্বালাই সাধে
তিমিরের আধাঁর ঝলসে হোক ছার-কাড়
আলোয় ভরুক দেশ এবার
জ্যোতির্ময় চাঁদে
চল মোরা কাজ করি 'দেশহীতে'

অবহেলায় দিয়া ছাই, যাই যাই এগিয়ে যাই
মোরা এক অপরের ভাই, কিসে রই বিবাদে
কাঁদে কাঁদে কাঁদ মিলাই, তরুণ-অরুণ আয় সবাই,
সোনার দেশের সোনা ফলাই,
মানুষের সুবাধে
চল মোরা কাজ করি 'দেশহীতে'


জেগে ওঠো নির্ভীক

মঙ্গল কল্যাণে রোষিয়া
জনজাগরণ বর্ষিয়া
রুকে দাড়াও বীর
উচুঁ করো শীর
          কালো-ঘাটা ছায়া
           চলো আজি ধলিয়া
জেগে ওঠো, ডাক শোন
সময় যায় গহিয়া

লোভাতুর ইন্দ্র
তারে আজি নিন্দ
ফেলে এসো সব দন্দ
স্যামের গান গাহিয়া
           নিকোলিয়া আধাঁর
           আলোর ঘটাও সঞ্চার
পোড়াও আশা অভিন্সার
দন্দ-মন্দ যাও বধিয়া

নির্লজ্জের নির্দয়ী গ্রাস
করো আজি সব পরিহাস
কোন্দল, জয়-দল
অগ্রে যাও নাশিয়া
                  নির্ভীক বীর এসো
                 বন্ধী মায়ের আঁসু মুছো
দীপ জ্বালি আধাঁর নাশো
সত্যের ঘাত খসিয়া


বিজয় বন্দনা

বিজয় মোদের অমর থাকুক
চেতনায় উজ্জিবিত হয়ে আসুক
মুক্তি কামীর সকল আশা
আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক
বীর শহিদের ভালবাসা

একাত্তরের প্রাণদানকারী
ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মা
শান্ত মনে হাঁসুক খোলাসা
মোদের তরে প্রয়াণ ঘটা
সর্বজন পাউক স্বর্গে বাসা

বাঙালীর বিজিত বাংলাদেশ
সবার অগ্রে বিশ্ব মাঝে
সান্তীর আলোয় বড়ুক দিশা
একাত্তরের চেতনা লয়ে
অবক্ষয়ে জয় হোক অভিন্সা

রিক্তমনা তিক্তে ভাসুক
মোদের বিজয় আলগে থাকুক
সুবাসিত বিজয় নেশা
জড়ে পড়ুক সব অকল্যাণ
মঙ্গল কর্ম স্ববল পোষা


দেখো বাঙলার বীর

রাজ পথের ঐ হানা-হানি 
বাঙলায় কে ঘাটায় উত্তান 
স্ব-স্বাধীন দেশ পরাধীন আজি
দেখো বাঙলার বীর সন্তান

আমরা যারা জিম্মি আছি
দখল বাজির যাতা কলে
দাঙ্গা-হাঙ্গামার দলীয় নীতি
কে ঘটাবে অবসান  
স্ব-স্বাধীন দেশ পরাধীন আজি
দেখো বাঙলার বীর সন্তান


আমার সকল প্রশ্ন
এ কেমন গণ-তন্ত্রের লড়াই
যেখানে লাশ হয়ে ফেরতে হয় 
পথচলা মানুষ গুলোকে  
আমরা বলি বাঁচার অধিকার,
ভাতের অধিকার প্রতিষ্টিত করি
কেন আজ কেটে খাওয়া মানুষ পারেনা
শিশুদের দিতে অন্য জোগার করি ?
কেন আজ এক গরিব নিঃস্ব রিক্সা চালক
রাস্তার পাশে পড়ে রয় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে
কেন আজ যাত্রীবাহি বাসে
দগ্ধিত মানুষ বাড়ি ফেরার পথে
আমরা স্বপ্ন দেখি স্বপ্নের কথা বলি 
স্কুলে যাওয়া কচি-কাঁচাদের সাথে
কেন বল বাধাঁ এসে দাঁড়ায় 
ঐ শিশুদের স্কুলের যাওয়ার পথে ?
কে নেবে দায়? আমাদের কৃষান 
সারের জন্যে যখন মরে -
কোন সে ভুলে শ্রমিকেরা দহে
কারখানার আগুনে পুড়ে ?
প্রবাস ফেরেত ছেলেরা মোর 
যখন বহু দিন পড়ে আসে 
কোন ভয়ে করে রাত্রি যাপন 
বিমান বন্দরে বসে
রুগ-ব্যথায় যখন আমার প্রিয়জন
বিছানায় কাঁদে শুয়ে
আমি কেন লয়ে যেতে পারিনা 
ওদেরে ভালো সিকিত্সালয়ে ?
থেকে যাক আমার সকল প্রশ্ন
বুকের পাঠা জোড়ে
তোরা করছিস উল্লাস করো আরো
আমি পড়ে আছি থাকবো তোদের আসে যায় কি-রে



 কাঁদন

   আমি কাঁদি-তুমি কাঁদ-সবাই কাঁদি
যখন দেখি রক্তে মাখা এই মাটি ওপর
একাত্তুরের হায়ানার দল করে তান্ডব,
খুন-খারাবি বোমাবাজি, অবরোধী । 
অহরহ ঝলসিতেছে মুক্ত স্বাধীন দেশে
শত শত মানুষ গরিব দুখি নিরবদী
    আমি কাঁদি-তুমি কাঁদ-সবাই কাঁদি
একাত্তরে ঝরছে লৌহ, দাগ শুকায় না
শকুনেরা খেয়েও অনেক, ক্ষুদা যায় না 
সোনার দেশে মানুষের পিছা ছাড়েনা
ওরা এদেশের ছেলেদের করছে খেলনা
তাদের বাসনা মতো করে দেশ বিরোধী
      আমি কাঁদি-তুমি কাঁদ-সবাই কাঁদি
জা-গ-রে তোরা দেশের রতন মুক্তি সেনা
আর দেখোনা কে করছে ভুল কে-বা না
গ্লানী হতে জাতি বাঁচা মুছে সব আবর্জনা
রক্ষা করো সাম্যবাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
মোদের, স্বাধীন দেশে রক্ত ঝরে অদ্যবদি
          আমি কাঁদি-তুমি কাঁদ-সবাই কাঁদি
এলো ডাক, বিপব্লী সাজ পড়ো, আর দেরি না
বাঁচাও এখন ভবিষত্ ওরাইতো দেশে সোনা
কাঁচা বাছা ওরা সবাই হয়েছে কাউর খেলনা
ফিরিয়ে এনে শিখাও ওদেরে দেশ ভাবনা
ওরা যারা পথ হারিয়ে ওপথে আজ রোয়ানা
         আমি কাঁদি-তুমি কাঁদ-সবাই কাঁদি

জেগে উঠো বীর

পূণ্যের আশে ধন্যের যশে
জীবন করিতে দান
জেগে উঠো বীর, মহা-মানবীর
কাঁদে তোলো তীর হাতিয়ার কামান
বাজাও তোমার শঙ্কে ধ্বনী
প্রাণের টানে জাগো হে গুনী
বাঙলার বীর উচুঁ করো শীর
গাহিতে স্যাম্যের গান

তন্দ্রায় অলসে হয়ো না-কো আর
কাল বৈশাখী নাচিঁতেছে তানে
দুর গগণে শোনা যায় যে গর্জন হুঙ্কার
কালো-কালো মেঘ, বিষম আবেগ'
জমিয়ে খেলা রেখেছে চমত্কার
সময় নাই-কো আর -
করে অনুবভ বাচাঁও মানব -
ধ্বংস দানব, দর্শক হর্ষক হও এবার


অভিশাপ

অভিশাপ - অভিশাপ এটি অভিশাপ
এ বাংলায় বেচেঁ থাকা মানুষের তরে
এনেছিনু কুড়ে মোরা 'এই অভিশাপ
বাংলার রাজনীতিতে নাই যে অনুতাপ
ভেবনা দেশ হীতে জনতা আছে ভীতে
ঝরিতেছে দিন রাতে 'প্রাণ নিষ-পাপ
ক্ষমতা লোভী খেলা রাজ পথ উতালা
হীনতায় আছে জোড়া নেতা-নেত্রী সাফ
মানবতা নিঃস্বেশ ক্ষত-বিক্ষত দেশ
মানুষেরা পেয়ে ক্লেশ করছে বিলাপ
হাটে মাটে কহল চলেছে অবিরল
বিদ্বেষে অচল মানবিক ইনশাফ
লাশ লয়ে উল্লাশ বিচিত্র অভিলাশ
তা যে হলো পাপ' একটি বিষম পাপ ।।


প্রশ্ন?

আমার বাংলাময়ী কালবিজয়ী উদার-পন্তী
মহা-পুরুষের, মহানুভব উত্তরীবৃহত!
কবে তোরা শান্ত হবে, কান্ত দেবে
হিংসায়নেয় পথ, কবে তোদের
ঘাত-প্রতিঘাত হবে বিফল রত ?
তোরা কি করবে না-রে সত্য শপথ?
সভ্য হবে, কথা বলবে, দায় নেবে তার
এমনিই কি ঝলসে যাবে, হীন স্রোতে ?
ন্যায় করবি-না আপনি হতে, কে যে দায়ী,
লোট-খারাবি, মারা-মারি চলছে অবিরত!
দেশ-মানুষের প্রতি, না-ই বা হলে নত্
তোদের কি, আয়-না মনে, চেয়ে আছে -
ষোলকোটি তোদের পানে, উন্নয়নে
তোরা কি পারবি না-রে, বদলাতে কিসমত?



No comments:

Post a Comment