সিলটি মানুষের শিরোমণি '' হযরত শাহজালাল(রহ)''
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি নাম ''শাহজালাল (রহ)''। এ নামটি বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সিলেট বিভাগের মানুষের কাছে অতি প্রিয় । দেশ জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। সময়ের শত পরিবর্তনের মাঝেও শাহ জালাল (রহ) যুগযুগান্তর ধরে এতদ্ব অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক দিক দিয়ে সর্বপ্রকার মানুষের কাছে হূদয়ের ধন, নয়নের মণি ও শিরের তাজ হিসেবে গণ্য। দেশ কিংবা বিদেশই হোক সিলেটবাসীরা গীতে-গানে এমনকি বিভিন্ন এবাদতগারসহ নিজ কর্মসংস্থান স্থাপনের মধ্যদিয়েও শাহজলাল (রহ) স্মরণকে উজ্জিবিত রাখছেন । শাহজালাল (রহ) এর সিলেট আগমনের আজ সাতশত নয় বৎসর অতিবাহিত হল। এর মধ্যদিয়ে মানব সমাজের বিরাট একটা ব্যবধান ঘটে যাওয়ার পরেও সিলেটবাসীরা ধারাবাহিক ভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত শাহজালাল (রহ) নাম হূদয়ে ধারণ করে আসছেন । তার কারণ কি ? এ জানতে সুদুর অতিত থেকে। বর্তমান সিলেট বিভাগ রামায়নযুগে ''শ্রীহট্ট'' হিসেবে পরিচিত হতো। ঐ দুর অতিতে সিলেটের সর্বমোট লোসংখা অল্প-সল্প থাকলেও তৎকালীন শ্রীহট্টমণ্ডল বর্তমান সিলেট বিভাগের চেয়ে আয়তনে অনেক বড় ছিল। প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থ কামাখ্যা তন্ত্র অনুযায়ী প্রাচীন কামরুপ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাই প্রাচীন শ্রীহট্ট ছিল । যোগিনী তন্ত্রে শ্রীহট্টের সীমার বিবরণ এরকম:
পূর্ব্বে স্বর্ণ নদীশ্চৈব দক্ষিণে চন্দ্রশেখর
লোহিত পশ্চিমে ভাগে উত্তরেচ নীলাচল
এতন্মধ্যে মহাদেব শ্রীহট্ট নামো নামতা
ছিল ঐতিহাসিক তথ্য মতে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা জেলার কিছু অংশ নিয়ে ভারতের বর্তমান আসাম প্রদেশ পর্যন্ত প্রাচীন শ্রীহট্ট বিস্তৃত ছিল। মহাভারত সময়কালে কামরুপ অধিপতি রাজা ভগদত্ত বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলাধীন লাউড় পর্বতে এ অঞ্চলে শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্টিত করার জন্য রাজধানী স্থাপন করে ছিলেন। যার ভগ্নাবশেষ আজও বিদ্যমান রয়েছে। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পরবর্তি সময়ে সিলেট অঞ্চলের ভৌগোলিক রুপরেখার পরিবর্তন ঘটলে লাউড়, গৌড় ও জৈয়ন্তিয়া এই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল প্রাচীন শ্রীহট্ট। অনুমান করা হয়, লাউড় রাজ্যের সীমানা বর্তমান সমগ্র সুনামগঞ্জ জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা এবং হবিগঞ্জ জেলার কিয়দাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এ রাজ্যের রাজধানী ছিল লাউড়। তদ্রুপ গৌড় রাজের অবস্থান সিলেট শহর ও শহরের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে বহু দুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সিলেট বিভাগে আরো একটি প্রাচীন রাজ্যের নাম ছিল জয়ন্তীয়া । সিলেট শহর হতে ৪০ কিলোমিটার দূরে জৈন্তা-খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে জৈন্তাপুর রাজ্যের অবস্থান ছিল। প্রায় ১২শ সালের শেষ দিকে রাজনৈতিক, ভূগৌলিক, সামাজিক ও সাহিত্যিক ভাবে গৌড় রাজ্য সিলেট বিভাগের ইতিহাসে সর্বদিগে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠে। শ্রীহট্টে ইসলাম জ্যোতি সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে বলা হয়, ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের মধ্য দিয়ে সিলেট অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে । বঙ্গ বিজয়ের প্রায় একশত বছর পর সিলেটের গৌড় রাজ্য গোবিন্দ নামের রাজার দ্বারা অধিকৃত হয়। রাজা গোবিন্দ সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত রয়েছে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক অচ্যুতচরণ চৌধুরী রাজা গোবিন্দকে সমুদ্রতনয় বলে পরিচয় করেন। উল্লেখ্য যে, গোবিন্দ গৌড় রাজ্যের অধিপতি বলে ‘গৌড় গোবিন্দ’ নামে অভিহিত হন। গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামালের মতে, তত্কালে সিলেটের টুলটিকর মহল্লায় ও হবিগঞ্জের তরফে মুসলমান বসতি ছিল। শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যের রাজা গৌড়-গোবিন্দ অত্যাচারি ছিল। গৌড় রাজ্যের অধিবাসী বুরহান উদ্দীন নামক জনৈক মোসলমান নিজ ছেলের জন্ম উত্সব উপলক্ষে গরু জবাই করে গৌড়ের হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দের কাছে অপরাধি সাবস্ত হন। ফলে গোবিন্দ বুরহান উদ্দীনের শিশু ছেলেকে ধরে নিয়ে হ্ত্যা করে। বুরহান উদ্দীন বাংলার তত্কালীন রাজা শামস উদ্দীন ফিরুজ শাহের নিকট গিয়ে এই নিষ্ঠুর হত্যা কাণ্ডের অভিযোগ জানান। শামস উদ্দীন ফিরুজ শাহ দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর অধীন সামন্ত রাজা ছিলেন । অভিযোগের পেক্ষিতে গোবিন্দকে শায়েস্তা করার জন্য বঙ্গের রাজা শামসুদ্দীন তাঁর ভাগিনে সিকান্দর গাজীকে প্রখণ্ড সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যে প্রেরণ করেন। সিকান্দর গাজী তৎকালীন পূর্ববঙ্গের রাজধানী সোনার গাঁ'য়ে সৈন্য সমাবেশ করেন। সোনার গাঁ থেকে শাহী সৈন্য যখন ব্রহ্মপুত্র নদী পার হতে চেষ্টা করে তখনই রাজা গোবিন্দ ভৌতিক শক্তির সাহায্যে মুসলিম সৈন্যের উপর অগ্নীবাণ নিক্ষেপ করে সমস্ত চেষ্টাকে বিফল করে ফেলে। গোবিন্দের ঐন্দ্রজালিক শক্তির প্রভাবে সিকান্দর গাজীর প্রতিহত ও বিফল মনোরথের সংবাদ দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর নিকট পৌছলে সম্রাট এ সংবাদে মর্মাহত হন। পরবর্তিতে সম্রাট তাঁর রাজদরবারী আমেল-উলামা সহ জ্যোতিষদের সাথে আলোচনায় অবহিত হলেন যে, আধ্যাতিক শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে অভিযান প্রেরণ করা হলে গৌড়-গোবিন্দের যাদু বিদ্যার মোকাবেলা করে সিলেট বা শ্রীহট্ট জয় অভিযান প্রেরণ করা হলে গৌড়-গোবিন্দের যাদু বিদ্যার মোকাবেলা করে সিলেট বা শ্রীহট্ট জয় সম্ভব হবে। সম্রাট অনুসন্ধান করে তাঁর সৈন্য বাহিনীর চাউনিতে সৈয়দ নাসির উদ্দীনকে যুগ্য হিসেবে বিবেচিত করে সিলেট অভিযানের নেতৃত্ব দেয়ার অনুরুধ জানান। তিনি 'সৈয়দ নাসির উদ্দীন' সম্রাটের আদেশে সম্মত হলে সম্রাট তাঁকে সিপাহসালার সনদ প্রদানের মাধ্যমে সিকান্দর গাজীর কাছে প্রেরণের প্রস্তুতি নেন। ঐতিহাসিকগণ লিখেনঃ
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি নাম ''শাহজালাল (রহ)''। এ নামটি বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সিলেট বিভাগের মানুষের কাছে অতি প্রিয় । দেশ জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। সময়ের শত পরিবর্তনের মাঝেও শাহ জালাল (রহ) যুগযুগান্তর ধরে এতদ্ব অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক দিক দিয়ে সর্বপ্রকার মানুষের কাছে হূদয়ের ধন, নয়নের মণি ও শিরের তাজ হিসেবে গণ্য। দেশ কিংবা বিদেশই হোক সিলেটবাসীরা গীতে-গানে এমনকি বিভিন্ন এবাদতগারসহ নিজ কর্মসংস্থান স্থাপনের মধ্যদিয়েও শাহজলাল (রহ) স্মরণকে উজ্জিবিত রাখছেন । শাহজালাল (রহ) এর সিলেট আগমনের আজ সাতশত নয় বৎসর অতিবাহিত হল। এর মধ্যদিয়ে মানব সমাজের বিরাট একটা ব্যবধান ঘটে যাওয়ার পরেও সিলেটবাসীরা ধারাবাহিক ভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত শাহজালাল (রহ) নাম হূদয়ে ধারণ করে আসছেন । তার কারণ কি ? এ জানতে সুদুর অতিত থেকে। বর্তমান সিলেট বিভাগ রামায়নযুগে ''শ্রীহট্ট'' হিসেবে পরিচিত হতো। ঐ দুর অতিতে সিলেটের সর্বমোট লোসংখা অল্প-সল্প থাকলেও তৎকালীন শ্রীহট্টমণ্ডল বর্তমান সিলেট বিভাগের চেয়ে আয়তনে অনেক বড় ছিল। প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থ কামাখ্যা তন্ত্র অনুযায়ী প্রাচীন কামরুপ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাই প্রাচীন শ্রীহট্ট ছিল । যোগিনী তন্ত্রে শ্রীহট্টের সীমার বিবরণ এরকম:
পূর্ব্বে স্বর্ণ নদীশ্চৈব দক্ষিণে চন্দ্রশেখর
লোহিত পশ্চিমে ভাগে উত্তরেচ নীলাচল
এতন্মধ্যে মহাদেব শ্রীহট্ট নামো নামতা
ছিল ঐতিহাসিক তথ্য মতে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা জেলার কিছু অংশ নিয়ে ভারতের বর্তমান আসাম প্রদেশ পর্যন্ত প্রাচীন শ্রীহট্ট বিস্তৃত ছিল। মহাভারত সময়কালে কামরুপ অধিপতি রাজা ভগদত্ত বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলাধীন লাউড় পর্বতে এ অঞ্চলে শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্টিত করার জন্য রাজধানী স্থাপন করে ছিলেন। যার ভগ্নাবশেষ আজও বিদ্যমান রয়েছে। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পরবর্তি সময়ে সিলেট অঞ্চলের ভৌগোলিক রুপরেখার পরিবর্তন ঘটলে লাউড়, গৌড় ও জৈয়ন্তিয়া এই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল প্রাচীন শ্রীহট্ট। অনুমান করা হয়, লাউড় রাজ্যের সীমানা বর্তমান সমগ্র সুনামগঞ্জ জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা এবং হবিগঞ্জ জেলার কিয়দাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এ রাজ্যের রাজধানী ছিল লাউড়। তদ্রুপ গৌড় রাজের অবস্থান সিলেট শহর ও শহরের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে বহু দুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সিলেট বিভাগে আরো একটি প্রাচীন রাজ্যের নাম ছিল জয়ন্তীয়া । সিলেট শহর হতে ৪০ কিলোমিটার দূরে জৈন্তা-খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে জৈন্তাপুর রাজ্যের অবস্থান ছিল। প্রায় ১২শ সালের শেষ দিকে রাজনৈতিক, ভূগৌলিক, সামাজিক ও সাহিত্যিক ভাবে গৌড় রাজ্য সিলেট বিভাগের ইতিহাসে সর্বদিগে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠে। শ্রীহট্টে ইসলাম জ্যোতি সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে বলা হয়, ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের মধ্য দিয়ে সিলেট অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে । বঙ্গ বিজয়ের প্রায় একশত বছর পর সিলেটের গৌড় রাজ্য গোবিন্দ নামের রাজার দ্বারা অধিকৃত হয়। রাজা গোবিন্দ সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত রয়েছে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক অচ্যুতচরণ চৌধুরী রাজা গোবিন্দকে সমুদ্রতনয় বলে পরিচয় করেন। উল্লেখ্য যে, গোবিন্দ গৌড় রাজ্যের অধিপতি বলে ‘গৌড় গোবিন্দ’ নামে অভিহিত হন। গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামালের মতে, তত্কালে সিলেটের টুলটিকর মহল্লায় ও হবিগঞ্জের তরফে মুসলমান বসতি ছিল। শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যের রাজা গৌড়-গোবিন্দ অত্যাচারি ছিল। গৌড় রাজ্যের অধিবাসী বুরহান উদ্দীন নামক জনৈক মোসলমান নিজ ছেলের জন্ম উত্সব উপলক্ষে গরু জবাই করে গৌড়ের হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দের কাছে অপরাধি সাবস্ত হন। ফলে গোবিন্দ বুরহান উদ্দীনের শিশু ছেলেকে ধরে নিয়ে হ্ত্যা করে। বুরহান উদ্দীন বাংলার তত্কালীন রাজা শামস উদ্দীন ফিরুজ শাহের নিকট গিয়ে এই নিষ্ঠুর হত্যা কাণ্ডের অভিযোগ জানান। শামস উদ্দীন ফিরুজ শাহ দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর অধীন সামন্ত রাজা ছিলেন । অভিযোগের পেক্ষিতে গোবিন্দকে শায়েস্তা করার জন্য বঙ্গের রাজা শামসুদ্দীন তাঁর ভাগিনে সিকান্দর গাজীকে প্রখণ্ড সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যে প্রেরণ করেন। সিকান্দর গাজী তৎকালীন পূর্ববঙ্গের রাজধানী সোনার গাঁ'য়ে সৈন্য সমাবেশ করেন। সোনার গাঁ থেকে শাহী সৈন্য যখন ব্রহ্মপুত্র নদী পার হতে চেষ্টা করে তখনই রাজা গোবিন্দ ভৌতিক শক্তির সাহায্যে মুসলিম সৈন্যের উপর অগ্নীবাণ নিক্ষেপ করে সমস্ত চেষ্টাকে বিফল করে ফেলে। গোবিন্দের ঐন্দ্রজালিক শক্তির প্রভাবে সিকান্দর গাজীর প্রতিহত ও বিফল মনোরথের সংবাদ দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর নিকট পৌছলে সম্রাট এ সংবাদে মর্মাহত হন। পরবর্তিতে সম্রাট তাঁর রাজদরবারী আমেল-উলামা সহ জ্যোতিষদের সাথে আলোচনায় অবহিত হলেন যে, আধ্যাতিক শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে অভিযান প্রেরণ করা হলে গৌড়-গোবিন্দের যাদু বিদ্যার মোকাবেলা করে সিলেট বা শ্রীহট্ট জয় অভিযান প্রেরণ করা হলে গৌড়-গোবিন্দের যাদু বিদ্যার মোকাবেলা করে সিলেট বা শ্রীহট্ট জয় সম্ভব হবে। সম্রাট অনুসন্ধান করে তাঁর সৈন্য বাহিনীর চাউনিতে সৈয়দ নাসির উদ্দীনকে যুগ্য হিসেবে বিবেচিত করে সিলেট অভিযানের নেতৃত্ব দেয়ার অনুরুধ জানান। তিনি 'সৈয়দ নাসির উদ্দীন' সম্রাটের আদেশে সম্মত হলে সম্রাট তাঁকে সিপাহসালার সনদ প্রদানের মাধ্যমে সিকান্দর গাজীর কাছে প্রেরণের প্রস্তুতি নেন। ঐতিহাসিকগণ লিখেনঃ