Sunday, 27 November 2011

জগন্নাথপুর

জগন্নাথপুর রাজ্য

কিংবদন্তী এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলী তথ্যাবলী থেকে জানা যায়, অতি প্রাচীন কালে সিলেট সহ বাংলার এক বিশাল ভূখণ্ড কামরুপ রাজ্যের অন্তভূক্ত ছিল এবং এর রাজধানী নাম ছিল প্রাগজ্যোতিষপুর কামরুপ রাজ্যের শাসক ছিলেন মহা ভারত যুদ্ধে নিহত রাজা ভগদত্ত। ঐতিহাসিকদের মতে সুনামগঞ্জের লাউড় পরগণায় রাজা ভগদত্তের উপরাজধানী ছিল। জনশ্রুতি পুরাকীর্তি ইত্যাদির ভিত্তিতে বলা হয় লাউড় সিলেটের প্রাচীন রাজ্য। যাহা বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্তিত পুরাকীর্তি সুত্রে ধারনা করা হয়, মহাভারত সমরে নিহত কামরুপ রাজা ভগদত্তের পরে তাঁর (ভগদত্ত রাজার) বংশীয় ১৯ জন ঐতিহাসিক নৃপতি লাউড় অঞ্চলে রাজত্ব করেছেন নিধনপুরের তাম্রলিপি সুত্রে বলা হয় ভাস্করভর্মন খ্রিস্টীয় ৬৫০ সাল পর্যন্ত অঞ্চলের রাজত্ব করেন ভাস্করভর্মনের পর স্লেচ্ছাদিনাথ শালস্থম্ভ (৬৫০-৬৭৫) দ্বারা ভর্মনদের সিংহাসন অধিকৃত হয়। শালস্থম্ভের পর রাজা হর্ষভর্মন (রাজত্বকাল, ৭৩০-৭৫০) অত্র রাজ্যে রাজত্ব করেন। ব্রহ্মপুত্র পরবর্তি সমস্ত রাজ্য সমুহে হর্ষভর্মনের সময় বিরাট ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির অভিমত রয়েছে। সময় সমস্ত বঙ্গ দেশ ভিন্ন ভিন্ন খণ্ড রাজ্যে বিভক্ত হয় এবং তত্কালে সিলেটের প্রাচীন লাউড় রাজ্য কামরুপ হতে বিভক্ত হয়ে একটি পৃথক স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়। দশম শতাব্দি কালে লাউড়, গৌড় জয়ন্তীয়া এই তিন রাজ্যে বিভক্ত ছিল সিলেট ভূমী। পরবর্তিকালে (দ্বাদশ শতাব্দির শেষার্ধে) বিজয় মাণিক্য নামে জনৈক হিন্দু রাজা লাউড় রাজ্যে রাজ্যত্ব করেন। সময় রাজা বিজয় মাণিক্যের লাউড় রাজ্যের সীমানা বর্তমান সমগ্র সুনামগঞ্জ জেলা ময়মনসিংহ জেলা এবং হবিগঞ্জ জেলার কিয়দাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। রাজা বিজয় মাণিক্যের রাজত্ব কালে বঙ্গের ব্রাহ্মণরা রাজা বল্লান সেন কর্তৃক অপমানিত হয়ে লাউড় রাজ্যে আশ্রয় নেয় রাজা বিজয় মাণিক্য জগন্নাথপুর অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে ব্রাহ্মদের স্থাপনা গড়ে দেন দ্বাদশ শতাব্দির শেষার্ধে রাজা বিজয় মাণিক্য জগন্নাথপুরের পান্ডুয়ায় (পেরুয়া) একটি রাজ্য স্থাপন করেন। অঞ্চলের নামানুসারে নাম রাখেন পান্ডুয়া রাজ্য। রাজ্যে রাজা বিজয় মাণিক্য জগন্নাথ মিশ্র নামের এক ব্রাহ্মন বিপ্রকে দিয়ে বাসুদেব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেবসেবায় কিছু ভূমী মন্দিরে দান করেন পরে এই স্থান জগন্নাথ মিশ্রের নামানুসারে "জগন্নাথপুর" হিসেবে আখ্যাত হয় রাজা বিজয় মাণিক্য জগন্নাথপুরের পান্ডুয়া রাজ্য হতে নিজ নামের সাথে তার দুই স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করে ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে সিক্কা মুদ্রা তৈরি করেছিলেন। যে স্থানে মুদ্রা তৈরি হত স্থান পরবর্তিতে সেক্কা থেকে ছিক্কা নামে পরিচিত হয় জগন্নাথপুরে তৈরি সিক্কা মুদ্রাই রাজা বিজয় মাণিক্যের রাজ্যের প্রমাণ বলে ঐতিহাসিকরা মনে করে, যা কুবাজপুর গ্রামের মদনমোহন চৌধুরীর পরিবারে সংরক্ষিত হয়ে আসছে বলে অচ্যুতচরণ চৌধুরী নিজ গ্রন্থে লিখেছেন। রাজা বিজয় মাণিক্য জগন্নাথপুর রাজ্যের পত্তন নিয়ে আমার লিখা কবিতা আছেঃবিজয় মাণিক্য রাজা লাউড়ের নৃপতিপান্ডুয়াতে নতুন রাজ্যের যিনি স্থপতি।গুরু সেবা মনোলুভা প্রদর্শিতে ভক্তিজগন্নাথ বিপ্রের নামে রাজ্যের নাম কৃতি।বলে বলিয়ান রাজা গুনের গুনি অতিছেক্কা মুদ্রা প্রকাশিয়া রাখিলেন স্মৃতি।বল্লাল সেন তাড়িত বাহ্মন করিল আরতিনিজ রাজ্যে গড়ে দিলেন ওদের বসতি।দেব সেবা নির্বাহিতে দান করিয়া ক্ষেতিবাহ্মণ রাজা গোত্র লোকে দেখাইলেন প্রিতি।(মোহাম্মদ ইউছুফ মিয়া নুনু)তত্ব অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজা বিজয় মাণিক্য ব্রাহ্মন ভক্ত রাজা ছিলেন বল্লাল সেন কর্তৃক বিতাড়িত ব্রাহ্মনগণকে জগন্নাথপুরে স্থাপন করেন এবং উচ্চ পর্যায়ের বাহ্মণদেরকে অনেন লাখে রাজ ভূমি দান করেন। রাজার ভান কৃত ভূমী বংশ পরমপরায় এখন কোন কোন পরিবারের প্রজন্মরা ভুগ করছেন। উদাহরণ স্বরুপ কুবাজ পুরের চৌধুরী বংশকেই ধরে নেয়া যাক; উক্ত বংশের পূর্বপুরুষ ছিলেন হরি হর রায়। কথিত আছে; হরিহরের পুর্ব পুরুষ ভারতের মাহারাষ্ট্রের অধিবাসী ছিলে। পরে তারা লৌহজঙ্গে আসেন, সেখান থেকে কুবাজপুরের মাগুরায় এসে ছিলেন। কারণ বসত রাজা বিজয় মাণিক্য কর্তৃক বন্দী রুপে রাজ বাটিতে নেয়া হয়। হরিহর রায় একজন কবি ছিলেন। তিনি রাজ-কারাগারে কবি গেয়ে দিন কাটাতেন। রাজা বিজয় মাণিক্য তার কবিতা শোনে মুক্তির আদেশ দিয়ে, রাজ দরবারে প্রধান কর্মচারী নিযুক্ত করেন। পরবর্তিতে হরিহরের গুনে রাজা মোহিত হয়ে লাখে রাজ ভুমী দান করে। উক্ত ভূমী অনেক পরে দশনা বন্দবস্তের সময় নং হতে ১৭ হতে ২৫ নং পর্যন্ত ষোলটি তালুকে চিহ্নিত হয়ে হরিহরের বংশের বিভিন্ন ব্যক্তির অধিকৃত হয় কথিত আছে যে, রাজার দান কৃত স্থানে বর্তমান কুবাজপুরে হরিহরের নামে একটি গ্রাম নির্মিত হয় যা আজও হরিহরপুর নামে পরিচিত। ভাবে জগন্নাথপুরের রাজাদের দান করা অনেক ভুমী বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন ব্যক্তি যেমন, কেশব পুরের দত্ত বংশ, রতিয়ার গ্রামের রঘু বংশ প্রভৃতি আরো অনেক গুলো বংশের প্রজন্মগণ আজও বিভিন্ন ভাবে ভুগ করছেন। উল্লেখিত বিজয় মাণিক্যর পরে লাউড় জগন্নাথপুর রাজ্যে কে বা কারা শাসক ছিলেন তা অজ্ঞাত ইসলামের প্রবেশ: রাজা বিজয় মাণিক্যের অনেক পরে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে ইয়ামনদেশীয় তাপস হযরত শাহ জালাল মুজারর্দ (রঃ) তিনশত ষাটজন সঙ্গিঅনুসারী নিয়ে প্রাচীন শ্রীহট্রের গৌড় রাজ্য জয় করেন শাহ জালাল (রঃ) এর সঙ্গীঅনুসারিগণ ইসলামের পবিত্র বাণী নিয়ে শ্রীহট্রসহ বঙ্গদেশে ছড়িয়ে পড়েন তারই ধারাবাহিকতায় হযরত শাহ জালাল (রঃ) এর সঙ্গীঅনুসারিগণদের মধ্য হতে পর্যাক্রমে আট জন আউলিয়া জগন্নাথপুর রাজ্যে এসেছেন বলে শোনা যায় | পর্যাক্রমে আগত আউলিয়াগণের নাম বর্তমানে অবস্থিত মাজার:- শাহ কালাম - শাহার পাড়ায়, সৈয়দ শামস্ উদ্দীন - সৈয়দপুর গ্রাম, শাহ কালু শাহ চান্দ- মিরপুর - দাওর বকস্ খতিব - দাউরাই গ্রাম, শাহ ফেছন উদ্দীন - ফেছি গ্রাম, সৈয়দ সামস্ উদ্দীন বিহারি আট গাও, শাহ মাণিক - মনিহারা গ্রাম। উল্লেখ যে, মিরপুরে অবস্থান রত শাহ চান্দ পরবর্তিতে চান্দ ভরাং গ্রামে চলে যান এবং সেখানেই তাঁর মাঝার অবস্থিত আমার স্বলিখিত একটি কবিতায় আউলিয়াদের শান বাস্থান বর্ণনা নিম্নেত্রয়োদশ শতাব্দি কালে শাহ জালাল তাপসসিলেটে আসেন আউলিয়া লয়ে তাওহিদী যশ।তিন' ষাট আউলিয়া সঙ্গে ইসলাম প্রচারেন বঙ্গেরংগিন হয়ে দিনের রঙ্গে মানুষ হয় শরশ শাহ জালালের আদেশতে অলিরা ধর্ম প্রচারিতেবাঙ্গলা আরও ভারতে ছড়িঁয়ে দেন শুধা-রস।জগন্নাথপুর রাজ্যে প্রবেশ করিয়াছেন আট দরবেশইতিহাসে নিবাস বিশেষ আজও রয় নিরশ।শাহাড় পাড়ায় শাহ কামালী, সৈয়দপুর সামসুদ্দীন অলিআট ঘরে সামসুদ্দীন বিহারী, দাউরাইয়েতে দাওর বকশ।ফেছিতে ফেছন উদ্দীন, মণিহারায় শাহ মাণিক অধিনশাহ কালু, চান্দ শা' আসিন, পিরের গাও দু'অলী তাপস।শাহ জালালের সঙ্গের সাথী, আট জাগায় নূরের বাতিজগন্নাথপুর গড়েন বসতি, ধন্য সব মানস।তেরশত শতাব্দির পর চৌদ্দ' সালের প্রথমার্ধে কাত্যায়ন গোত্রিয় দিব্য সিংহ নামে নৃপতি লাউড়ে রাজত্ব করেন তখন লাউড়ের রাজধানী নবগ্রামে স্থানান্তর হ্য়। সময় লাউড় এবং জগন্নাথপুর রাজ্য অনেক জ্ঞানী পুরুষের আবির্ভাবে প্রফুল্লিত হয়েছিল রাজ্যের রাজমন্ত্রী কুবেরাচার্য ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ব্যক্তি যার জ্ঞানের চর্চা ভারতবর্ষের অন্যতম বিদ্যাপীঠ নবদ্বীপ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত ছিল এছাড়া উক্ত রাজ্যের নবগ্রামে মাধবেন্দ্রপুরী নামে আরেক জন জ্ঞানী সাধু পুরুষ বসবাস করতেন এই মাদেবন্দ্রপুরির কাছে শিষ্যত্ব গ্রহন করে লাউড়ের যুবরাজ রমানাথ বা রামা মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যেচার্য সারা ভারতবর্ষে স্মরণীয় হয়ে আছেন। রমানাথ সিংহ উপযুক্ত হলে রাজা দিব্য সিংহ রাজ্যভার তাঁর পুত্র রমানাথকে দিয়ে, শান্তি সাধনায় তিনি তাঁর মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যের আখড়া শান্তিপুরে চলে যান। সেখানে থেকে অদ্বৈত্যের উপদেশে বৈষ্ণবীধর্ম গ্রহণ করেন এবং সাহিত্য চর্চায় মনোযুগী হয়ে বাংলা ভাষায় বিঞ্চুভক্তি শাস্ত্র গ্রন্থ সহ আরও কয়েকটি গ্রন্থের অনুবাদ করেন। অতপর অদ্বৈত্য বাল্যলিলা গ্রন্থ রচনা করে কৃষ্ণদাস নামে আখ্যাত হন। রাজা দিব্য সিংহের পুত্র রামানাথ সিংহের তিন পুত্র ছিল। এই তিন পুত্রের মধ্যে একজন কাশীবাসি হন এবং এক পুত্রকে লাউড়ের রাজ সিংহাসনে বসিয়ে; রামানাথ সিংহ তাঁর অন্য পুত্র কেশবের সাথে জগন্নাথপুরে আসেন। জগন্নাথপুর এককালে বর্তমান ভৌগোলিক সীমানার চেয়ে আরো বড় ছিল। সেই দ্বাদশ শতাব্দি থেকে অষ্টাদশ শতাব্দি পর্যন্ত জগন্নাথপুর রাজ্য লাউড়ের শাখা-রাজ্য ছিল, এবং বংশানুক্রমে লাউড় নৃপতিগণ কর্তৃক শাসিত হ্য়। দিল্লী সম্রাটদের রেকর্ডে জগন্নাথপুর রাজ্য লাউড়ের এজমালি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হ্ত। শ্রীহট্রের ইতিবৃত্তে বর্ণিত যে, উক্ত লাউড় রাজ্য সকল সময় স্বাধীন ছিলপ্রায় পঞ্চদশ শতাব্দির কালে রামানাথের পুত্র কেশব সিংহ জগন্নাথপুরে রাজ্যত্ব করেন। মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রি.) লাউড়ের রাজা গোবিন্দ সিংহ তার জ্ঞাতি ভ্রাতা জগন্নাথপুরের রাজা বিজয় সিংহের সঙ্গে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়েছিলেন। তখন ঐতিহাসিক লাউড় রাজ্যের রাজধানী সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ‘হলহলিয়ায়' ছিল, এখানকার ধ্বংসাবশেষও তাই জানান দিচ্ছে। রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ হলহলিয়া গ্রামে এখনো বিদ্যমান। এই রাজধানী প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কেশব মিশ্র। তারা ছিলেন কাত্যান গোত্রীয় মিশ্র। তাদের উপাধি ছিল সিংহ। রাজা বিজয় সিংহ গোবিন্দ সিংহকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে সম্রাট আকবরের বিচার প্রার্থনা করেন। সম্রাট আকবর দিল্লি থেকে সৈন্য পাঠিয়ে গোবিন্দ সিংহকে দিল্লিতে ডেকে নেন। গোবিন্দ সিংহের অপর নাম ছিল জয় সিংহ। একই সময়ে ফাঁসির হুকুম প্রাপ্ত বানিয়াচং রাজ্যের জয় সিংহ নামের রাজা গোবিন্দ সিংহের সঙ্গে সম্রাট আকবরের কারাগারে আটক ছিলেন। ভুলবশত প্রহরীরা গোবিন্দ সিংহের পরিবর্তে ওই জয় সিংহকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন। বানিয়াচং রাজা গোবিন্দ সিংহের প্রাণ এভাবে রক্ষা পাওয়ায় তিনি কৌশলে আকবরের কাছ থেকে নানা সুযোগ গ্রহণ করেন। তিনি আকবরের কাছে প্রাণভিক্ষা চান এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। গোবিন্দ সিংহের নাম হয় হাবিব খাঁ। আকবর গোবিন্দ সিংহকে তার হৃতরাজ্য পুনরায় দান করেন। জগন্নাথপুরের রাজা বিজয় সিং দেশে ফিরার কিছু দিন পর বানিয়াচং রাজ গোবিন্দ সিংহ ওরফে হাবিব খাঁ'র সাথে বিবাদে পরে হাবিব খাঁ'র গুপ্ত ঘাতকের হাতে নিহত হলে লাউড় এবং জগন্নাথপুর রাজ্যদ্বয় হাবিব খাঁ'র অধিকার ভুক্ত হয় । বানিয়াচং রাজ্যের সাথে হতা-হতীতে জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ বংশ ধ্বংশ হয়। প্রায় শতরে'শ শতকের পরে লাউড় জগন্নাথপুর রাজ্য স্বাধীনতা হারায় এবং বানিয়াচং রাজ বংশ পরে মোঘলরা এর নিয়ন্ত্রক হন। এ ভাবে প্রাচীন রাজ্যগুলো একসময় জমিদারী এস্টেটের অধিনে আসে । ইংরেজ শাসনামলে ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে সুনামগঞ্জকে মহকুমায় উন্নীত করা হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রশারে ১৯২২ সালে জগন্নাথপুর থানা গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগে এই অঞ্চলদ্বয় পাকিস্তানে অন্তরভুক্ত হয়ে বাঙালীর স্বাধীনতা সংগ্রাম বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রশাসনিক অঞ্চলে রূপান্তর হয় । পরবর্তীকালে উন্নীত থানা পরিষদ উপজেলা পরিষদে রূপান্তরিত হয়।


তথ্য সুত্র ১ শ্রীহট্রের ইতিবৃত্ত, অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্বনিধী; গ্রন্থ প্রাকশ- ১৯১৯ ইংরেজী| 
২. বাংলাদেশের লোকসাহিত্য ও লোকঐতিহ্য’’ ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী, গ্রন্থ প্রকাশ- ২০০৫ ইংরেজী 
৩. সৈয়দ মুর্তাজা আলী'র হজরত শাহ্ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস | 
‘’সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত’’ মোহাম্মদ মুমিনুল হক |